শরিফা বেগম শিউলী
রংপুরের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভূতুড়ে বিল ভাউচার সাধারণ রোগীরা চরম হয়রানীর স্বীকার । রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯.৩০ মিনিটের দিকে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। রোগীর মা জানান, গত ১৫ই সেপ্টেম্বরে আমার ছেলেকে মাথার চামড়ার নিচে টিউমার অপারেশনের জন্য ধাপ,শ্যামলী লেন, পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন, মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। ভর্তি করার পর ছেলের মাথার অপারেশন করার জন্য হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে অপারেশন ও ঔষধ থেকে শুরু করে সমস্ত খরচ মিলে ৪৫,০০০/- হাজার টাকা ঠিক করা হয়। হারুন-অর- রশিদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের শেয়ার মালিক ও হাসপাতালে সমস্ত মার্কেটিং এর দায়িত্বে আছেন। ১৮ই সেপ্টেম্বরে আমার ছেলের অপারেশন সম্পন্ন হয়। অপারেশনের সমস্ত ঔষুধপাতি, সার্জিক্যাল ও ডাক্তার এর খরচের হিসাব আগেই ঠিক করে হারুন-অর-রশিদ।
রোগীর মা আরো বলেন, আমার ছেলের অপারেশনের পর ২৪-০৯-২০ বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সময় অফিসে বিল পরিশোধ করতে গেলে দেখি তাদের সঙ্গে মোট বিল ঠিক করা হয়েছে ৪৫,০০০/- হাজার টাকা কিন্তু হাসপাতাল থেকে বিল ধরিয়ে দিয়েছে ১,২৭,৭০০/- (এক লক্ষ সাতাশ হাজার সাতশত) টাকা আমি এত বিল শুনে আকাশ থেকে মাটিতে পড়েছি মনে হচ্ছিল। তাদের সঙ্গে ঠিক করা হয়েছে ৪৫,০০০/- হাজার টাকা কিন্তু এত টাকার বিল কিভাবে আসলো জানতে চাইলে। তারা নানান ধরনের মিথ্যাচারের চেষ্টা করতে ছিল। তাদের সঙ্গে সবমিলিয়ে মোট খরচ ঠিক করেছি ৪৫,০০০/- হাজার টাকা আমরা সেটাই বিল দিব। তারা সে বিল মানে না। হারুন সাহেব বলতেছিল ওষুধের দাম বেশি, ডাক্তার এর খরচ বেশি, ক্লিনিকে চার্জ ও বেশি দেখাচ্ছে আর নানান ধরনের টালবাহনা করতেছে।রোগীর মা বলেন আমরা ৩দিন থেকে হাসপাতালে আটকে আছি।এতে টাকা বিল আমরা কিভাবে পরিশোধ করবো। পরে সাংবাদিকের জানালে সাংবাদিকরা হাসপাতালে আসে পরিচালক রাসেদুল ইসলাম জুয়েলের সাথে কথা বললে সে একেক সময় একেক রকম কথা বলে।কখনো বলে হারুন হাসপাতালের কেউ না কখনো বলে হারুন মার্কেটিং এর দায়িত্বে আছে। পরে ম্যানেজার বাবলু মিয়ার সাথে কথা বললে সে ১,২৭,৭০০/ টাকা থেকে সকল হিসাব করে ৬৩ হাজার টাকা বিল তৈরী করে দেয়।পরে ৬৩,০০০/ টাকা বিল পরিশোধ করে রোগীকে নিয়ে ঘোরাঘাট বাসায় চলে যায়।
এদিকে সাংবাদিকরা হসপিটালে তথ্য নেওয়ার জন্য গেলে রাজু নামের অজ্ঞাত ব্যক্তি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি ও জীবন নাশের ভয়-ভীতি দেখায়।
মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে নির্বাহী পরিচালক রাকিবুল ইসলাম জানান, এই বিল সম্বন্ধে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। তবে হসপিটালে সঙ্গে যদি ৪৫,০০০/- হাজার টাকা কন্টাক করা হয়। তাহলে বিল একটু বেশি খরচ হলেও ৫৫,০০০/- থেকে ৬৩,০০০/- হাজার টাকা হতে পারে কিন্তু ১,২৭,৭০০/- (এক লক্ষ সাতাশ হাজার সাতশত) টাকা কখনো হতে পারে না। যারা এই বিলটা করছে তারা খুব খারাপ কাজ করছে।